শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

'উম্মী' শব্দের অর্থ ও তাৎপর্যঃ


আল্লাহ্ তা‘আলা এরশাদ করেন-

اَلَّذِيْنَ يَتَّبِعُوْنَ الرَّسُوْلَ النَّبِىَّ الْاُمِّىَّ الَّذِيْنَ يَجِدُوْنَهُ مَكْتُوْبًا عِنْدَهُمْ فِىْ التَّوْرَاةِ وَالْاِنْجِيْلِ يَأْمُرُهُمْ بِالْمَعْرُوْفِ وَيَنْهَهُمْ عَنِ الْمُنْكَرِ لَهُمْ الطَّيِّبَتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمْ الْخَبَائِثُ وَيَضَعُ عَنْهُمْ اِصْرَهُمْ وَالْاَغْلَلَ الَّتِىْ كَانَتْ عَلَيْهِمْ ط فَالَّذِيْنَ اَمَنُوْا بِهِ وَعَزَّرُوْهُ وَنَصَرُوْهُ وَاتَّبَعُو النُّوْرَ الَّذِيْنَ اُنْزِلَ مَعَهُ اُولَئِكَ هُمْ الْمُفْلِحُوْنَ
(১৫৭ سوره الاعراف: اية)

তরজমা: ওই সব লোক, যারা দাসত্ব করবে এ রসূল, পড়া বিহীন অদৃশ্যের সংবাদ দাতার যাকে লিপিবদ্ধ পাবে নিজের নিকট তাওরীত ও ইঞ্জীলের মধ্যে; আর পবিত্র বস্তু সমূহ তাদের জন্য হালাল করবেন এবং অপবিত্র বস্তুসমূহ তাদের উপর হারাম করবেন; এবং তাদের উপর থেকে ওই কঠিন কষ্টের বোঝা ও গলার শৃঙ্খল, যা তাদের উপর ছিলো, নামিয়ে অপসারিত করবেন। সুতরাং ওইসব লোক, যারা তাঁর উপর ঈমান এসেছে, তাকে সম্মান করেছে, তাঁকে সাহায্য করেছে এবং ওই নূরের অনুসরণ করেছে, যা তাঁর সাথে অবতীর্ণ হয়েছে তারাই সফলকাম হয়েছে।
— সূরা আ’রাফ: আয়াত- ১৫৭, তরজমা কানযুল ঈমান

প্রথম অর্থঃ
আয়াতে হুযুর পাক (সঃ) কে উম্মী উপাধি দিয়ে আল্লাহ পাক সম্বোধন করেছেন । উম্মী শব্দের একাধিক অর্থ হতে পারে- এটা ‘উম্মুন’ দ্বারা শব্দের সাথে সম্পৃক্ত শব্দ। আরবীতে (উম্মুন) বলে মাকে, আসল বা মূলকে। অর্থাৎ এর অর্থ হচ্ছে মা-বিশিষ্ট নবী। দুনিয়ায় সব মানুষ মা-বিশিষ্টই হয়; কিন্তু যেমন ‘মা’ আল্লাহ্ তা‘আলা হুযূর-ই আকরামকে দান করেছেন, তেমন গোটা দুনিয়ায় কেউ পায়নি। হযরত মরিয়মও ‘মা’-ই ছিলেন। কিন্তু ‘নবীকুল সরদার’ যেমন বে-মেসাল (উপমাহীন), তাঁর আম্মাজানও তুলানাহীন (বে-মেসাল)। কবির ভাষায়-
وه كنوپارى اك مريم وه نَفَخْتُ فِيْهِ كادم هے عجب نشان اعظم مر امنه كا جايا وه هے سب سے افضل ايا
অর্থ: তিনি ওই পবিত্র কুমারী মরিয়ম, তিনি আল্লাহর তা‘আলার বাণী- ‘আমি তার মধ্যে রূহ ‘ফুৎকার করেছি’-এর প্রাণবায়ু বা সারতত্ব। তিনি এক বৃহত্তর নিদর্শনের আশ্চর্যজনক প্রকাশস্থল। (এতে কোন সন্দেহ নেই।) কিন্তু হযরত আমেনার মহান সন্তান (হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম) হলেন সবার সেরা, সবার চেয়ে শ্রেষষ্ঠ হিসেবেচ এ ধরা বুকে তাশরীফ এনেছেন।
যে ঝিনুক নিজের পেটে মূল্যবান মুক্তা ধারণ করে, ওই ঝিনুকও মূলবান হয়ে যায়। যেই বরকতময়ী মা আপন পাক গর্ভাশয়ে ওই অদ্বিতীয় মুক্তাকে ধারণ করেন, তিনি কতই বরকত মণ্ডিত হবেন! (তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।)

দ্বিতীয় অর্থঃ
আরেক বৈশিষ্ট্য ‘পড়াবিহীন’। এর অর্থ হচ্ছে তিনি আপন মায়ের গর্ভাশয় থেকে সর্ববিষয়ে জ্ঞানবান হয়েই ভূমিষ্ঠ হয়েছেন, দুনিয়ার কারো নিকট পড়ালেখা করেন নি, করতে হয়নি। কবি বলেন-
خاك وبراوج عرش منزل – امى وكتاب خانه در دل امى ودقيقه دان عالم – بے سايه وسائبان عالم
অর্থ: তিনি মাটির পৃথিবীতে সদয় অবস্থান করছেন, অথচ আরশের সর্বোচ্চ আসনে আসীন হয়েছেন। তিনি ‘উম্মী’ (দুনিয়ার কোন ওস্তাদের নিকট পড়ালেখা করেননি, কিন্তু তাঁর পবিত্র নূরানী হৃদয়ে রয়েছে বিশালতম কিতাবখানা- (গ্রন্থালয়)
তিনি ‘উম্মী’ উপাধিধারী, অথচ বিশ্বের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ণ বিষয়াদি সম্পর্কে অবগত। তাঁর ছায়া ছিলো না, অথচ সেটা বিশ্বের জন্য বিশাল সামিয়ানা। হুযূর আকরামের ছায়া ছিলো না, কিন্তু সমগ্র দুনিয়ার উপর তাঁর ছায়া রয়েছে।

তৃতীয় অর্থঃ
‘উম্মী’ শব্দের তৃতীয় অর্থ- ‘উম্মুল কোরা’ (মক্কা মুকাররামাহ্)’য় সদয় অবস্থানকারী।

চতুর্থ অর্থঃ
এর চতুর্থ অর্থ- তিনি সমগ্র বিশ্বের মূল।
তথ্যসূত্র
mishukifti.wordpress.com

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Who was the Father of ibrahim? ইব্রাহীম (আ) এর পিতা কে ছিলেন?

The Prophet Ibrahim (may Allah’s peace and blessings descend upon our Prophet Muhammad and upon him and both their families) was the son of ...